


তিল
তিলের তৈরি খাবার অনেক সুস্বাদু এবং তিল স্বাস্থ্যের জন্যেও ভীষণ উপকারি।
তিল বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোজ্য তেল ফসল। ইংরেজি “Sesame” শব্দের অর্থ হচ্ছে “তিল” ।
আর তিলের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে “Sesamum indica”। তিল দিয়ে তৈরি করা যায় মজাদার খাবার এবং তিল থেকে তৈরি হয় তেল ,যা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।
চিকিৎসার ক্ষেত্রেও অনেক আগে থেকেই তিল উপাদানটি ব্যবহৃত হচ্ছে। তিল মূলত দুই ধরণের হয়ে থাকে।সাদা এবং কালো রঙের।
উভই তিলই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি।এবং খাবারে তিল ব্যবহার করা খাবার ,খাবারের স্বাদে অনন্য মাত্রা বয়ে আনে।
খাদ্য হিসেবে তিল খুবই জনপ্রিয়। যেকোন খাবারে তিল ব্যবহার করলে খাবারের স্বাদ বহুগুন বেড়ে যায়।
নাড়ু, মোয়া, খাজা ইত্যাদি মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরিতে তিল ব্যবহার করা হয়। স্বাস্থ্য এবং রূপচর্চা উভই ক্ষেত্রেই তিলের ভুমিকা রয়েছে।
তিল পুষ্টিজাতীয় সমস্যা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ভালো থাকার জন্য তিল ও তিলের প্রয়োজনীয়তা জেনে রাখা উচিত।
তিল রয়েছে নানা পুষ্টি উপাদান যা আমাদের স্বাস্থ্য ত্বক ও চুলের যত্নেও কার্যকর ভুমিকা পালন করে থাকে।
তিলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ ও ভিটামিন যা আমাদের দেহের ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
এছাড়াও রয়েছে, ফরফরাস ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ নানা পুষ্টি উপাদান,যা মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
তিলের উপকারিতা



শারীরিক বৃদ্ধিঃ নিয়মিত তিল খেলে শারীরিক বৃদ্ধি ঘটে। যাদের দৈহিক বৃদ্ধি কম তিলের তৈরি খাবার তাদের জন্য উপকারি।
মাথা ব্যাথ্যা কমায়ঃ- তিলের তেল মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত তিল খেলে বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটে। ত্বকের রং উজ্জ্বল করতেও তিল সহায়ক ভুমিকা রাখে।
দাঁতের সুরক্ষায়



দাঁত এবং হাড়ের যত্নেও তিল ভীষণ উপকারী একটি উপাদান । তিলে বিদ্যামান রয়েছে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ পুষ্টি উপাদান।যা আমাদের দাঁত ও হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে।
নিয়মিত তিল খেলে দাঁত মজবুত হয় এবং দাঁতের মাড়ির দূর্বলতা হ্রাস পায়।
ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক
তিল খেলে দেহের ক্লান্তি দূর হয় তাই নিয়মিত তিল খাদ্য তালিকায় তিল রাখা উচিত।
ওজন হ্রাস



কালো তিল মেদ কমাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে তাই নিয়মিত বা প্রতিদিন ভোরে এক চামচ করে তিল খাওয়া উচিত যাদের মেদজনিত সমস্যা রয়েছে।
সর্দি কাশি দূরীকরণে
কাশি হলে বুকে কফ জমা হয়ে যায়। এমন সমস্যা সমাধানেও তিলের তেল বেশ উপকারী। এছাড়াও দ্রুত সর্দি নিরাময়েও তিল বেশ উপকারি।
শারীরিক ক্ষত সারিয়ে তুলতে
শরীরের ক্ষত বা ঘা সারিয়ে তুলতেও তিলের গুরুত্ব অনেক। ক্ষতস্থানে তিল ব্যবহার করলে তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
তিল পিষে মধু আর ঘি মিশিয়ে ক্ষত স্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
দেহের গঠন



দেহের গঠন বা শারীরিক উচ্চতা বৃদ্ধিতেও তিলের ভুমিকা রয়েছে। ঋতুস্রাবজনিত সমস্যার সমাধানে
বর্তমানে অনেক মেয়েরাই মেন্সট্রুয়াল সমস্যায় ভুগে থাকেন। অর্থ্যাৎ, ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা নির্মূলেও তিল ভীষণ কার্যকরী ।
উচ্চ রক্ত চাপ
উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে বা এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে প্রতিদিন তিল খাওয়া উচিত।
ত্বকের দাগ নিয়ন্ত্রণ
যারা মুখের অবাঞ্ছিত দাগজনিত সমস্যা ভুগছেন,তারা মুখে সাদা তিল ব্যবহার করতে পারেন এবং এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী
ডায়াবেটিসের মাত্রা স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে তিল ভীষণ কার্যকরী।
চুলের সমস্যা সমাধান



চুল পড়া ও অকালে চুলের পক্কতা রোধ করতেও তিলের ভুমিকা অনেক। তিল ব্যবহারে চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত হয় এবং চুল পড়া দ্রুত নিয়ন্ত্রণ হয়।
তিলের তেল ব্যবহার করলে মাথায় নতুন চুল গজায় এবং চুল ন্যাচারালি সুন্দর ও কালো হয়।
তিল ছাড়া উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় করে তুলতেও ভীষণ উপকারী।তাই নিয়মিত রুপচর্চার ক্ষত্রে তিল আবশ্যক।
এছাড়াও তিলের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে



শরীরের কোন অংশ পুড়ে গেলে তিল ব্যবহার করলে তা থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।
শরীরের কোথাও জ্বালা হলে তিল পিষে ব্যবহার করলে তা নির্মূল হয়।
তিল দিয়ে তৈরি করা পিঠা ,নাড়ু মোয়া ও অন্যান্য খাদ্য কমবেশি সকলের পছন্দনীয় ।
তিল অনেক পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ উপাদান যা আমাদের স্বাস্থ্য,ত্বক ও চুলের জন্যেও বেশ উপকারী।